স্ত্রীকে এমনভাবে ভালবাসুন যাতে ছেড়ে যাবার কথা ভাবলেই অন্তর কেপে উঠে, যে ভালবাসার কমতি হলে নিঃশ্বাসে ঘাটতি হয়, অচল হয় সবকিছু।

এমনভাবে ভালবাসুন, যাতে প্রতিটি মোনাজাতে থাকে বুক ভরা কৃতজ্ঞতা, সুখের জল আর সাথে থাকুক আপনার সাথে বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।

আগলে রাখুন পরম মমতাভরে, হৃদয়ের অন্দরমহলে আগলে রাখুন খুব যত্নে।

আগলে রাখুন তার প্রতিটা কথা, তার প্রতিটা চোখের জল, আগলে রাখুন তার চঞ্চলতায় ভরা অন্তর, যা শুধুমাত্র আপনি দেখতে পান।

অভিমান বুঝুন, অভিমান ভাঙ্গান, মেয়েরা বেশি অভিমানি, তাদের অন্তর যে কোমল, কোমল অন্তর কে কোমল ভাবেই গুছিয়ে নিন। দেখবেন জীবন সুন্দর, সত্যি সুন্দর অনেক অনেক সুন্দর।

হ্যাঁ, আপনার জীবনসঙ্গীর কথাই বলছি।

“যতটা ভালবাসলে আর সম্মান করলে আল্লাহর কাছে দু’আর প্রতিটি অংশে আপনার সাথে শুধু দুনিয়াতেই নয় জান্নাতে, অনন্তকালের জান্নাতে থাকার তীব্র ইচ্ছা থাকে ততটা ভালবাসুন।

রবের নিকট যেন অভিযোগ নয় বরং অনুনয় থাকে আপনাকে নিয়ে, ততটাই ভালবাসুন।”

“প্রতি নিস্তব্ধ রাতে নামাজে আপনার স্ত্রী যেন কেঁদে উঠে আপনাকে পাওয়ার সৌভাগ্য, রবের নিকট কৃতজ্ঞ হয়ে কেদে উঠে আর বলে হে আল্লাহ, আমার স্বামী তো উত্তম মুমিন”

স্ত্রীকে ভালোবাসুন… যখন সে কাঁদে...

তার কাছে কারণটা শুনুন, তাকে জড়িয়ে ধরে বলুন “সব ঠিক হয়ে যাবে ইংশা আল্লহ্।”

স্ত্রীকে ভালোবাসুন, যখন তার রান্না খারাপ হয়! কারণ, সে কিন্তু ঠিকই আপনার জন্য ভাল রান্নার চেষ্টা করেছে…

স্ত্রীকে ভালবাসুন যখন সে আপনার কাছে কথার ঝুড়ি নিয়ে বসে আপনাকে বিরক্ত করে, কারণ আপনিই তার একমাত্র আনন্দের উৎস, বন্ধু, ভালোবাসা ভরসার জায়গা।

“রাসুল(ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্য সেই ব্যাক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রী ও পরিবারের নিকট উত্তম।”

 

স্ত্রীর প্রতি কিছু  দায়িত্ব্: 

তার শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক চাহিদা পূরন করুন।

তাকে ইসলামের পথে ডাকুন, নিয়মিত নসীহা দিন, ও তাকে পর্দায় রাখুন। স্ত্রীকে পর্দায় রাখা আপনার দায়িত্ব।

তার আত্মীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখুন।

আপনার স্ত্রীকে আপনার জন্য চক্ষু শীতলকারী বানান, আর আপনিও স্ত্রীর নিকট ওইরূপ হন।

স্ত্রী আপনার নিকট আল্লাহর নেয়ামত ভরা উপহার...

আপনার প্রতিটা দোয়ায় তাকে রাখুন, হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল ও হৃদয় ঠান্ডাকারি হবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন।